নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার থেকে মিয়ানমারে অকটেন, ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি পাচার রোধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের ফিসারিঘাট, বিআইডব্লিউটিএ’র ঘাটসহ একাধিক পয়েন্টে এই অভিযান চালানো হয়।
এসময় কোনো জ্বালানি আটক করতে না পারলেও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে কয়েকটি তেলের ডিপোকে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় দুইজনকে।
সম্প্রতি অধিক হারে ট্রলার ও ট্রাকে করে মায়ানমারে পাচার হয়েছে বেশ কিছু বড় বড় জ্বালানির চালান, যার আংশিক চালান পরবর্তীতে র্যাব ও পুলিশের অভিযানে জব্দ করা হয়। জ্বালানিসহ অন্যান্য দ্রব্য পাচার রোধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন। তিনি আরও জানিয়েছেন বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানি করা তেল কোনোভাবেই ভিনদেশে পাচার করতে দেয়া যাবে না।
এদিকে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে চোরাপথে জ্বালানি, ভোজ্য তেলসহ নিত্যপণ্য সামগ্রী পাচার যেকোনোভাবে প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গেল বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় অবৈধ জ্বালানি তেল বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনাসহ ঘন ঘন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। এদিকে কয়েক দিন ধরে চোরাপথে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চালও পাচার হয়ে যাচ্ছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, র্যাব ও পুলিশের প্রতিনিধি, জেলার ৯টি উপজেলার জ্বালানি তেলের ব্যবসায়ী, পেট্রল পাম্প মালিকসহ ফিশিং বোট মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা।