পাহাড় কাটার দুই ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা

ww
print news

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদর উপজেলায় বহুল আলোচিত পাহাড় কাটার দুই ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। মামলা দুইটি ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে আরও ৮ জনকে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মো. আবদুছ ছালাম বাদি হয়ে সোমবার দুপুরে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দুইটি দায়ের করেন।
কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. কাইছার হামিদ মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট আইনে মামলাটি নথিভূক্ত করে অভিযুক্ত গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
এর মধ্যে কক্সবাজার বাইপাস সড়কের কলাতলী এলাকার বিকাশ বিল্ডিং এর পাহাড় কাটার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে ৪ জনকে।
এই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, উখিয়ার রাজাপালং এলাকার ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে মো. ইলিয়াছ, কলাতলী আদর্শ গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম, লাইট হাউজ পাড়ার মৃত হামিদ হোসেনের ছেলে সালামত উল্লাহ, সাহিত্যিকা পল্লী এলাকার মৃত আবদুল হামিদেরে ছেলে মো. ইউনুছ, হাজিপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. ফয়সাল, তারাবনিয়ার ছড়ার মৃত মো. আলীর ছেলে মো. সেলিম ও কলাতলী এলাকার মৃত জাফর আলমের ছেলে নুরুল আলম ভূট্টো।
অপরদিকে কলাতলীর সৈকতপাড়া এলাকায় পাহাড় কাটার ঘটনায় দায়ের করা মামলা এজাহারে শুধুমাত্র ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির পাশা পল্লবের নাম উল্লেখ রয়েছে। যেখানে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে আরও ৪ জনকে।
গত ১১ জানুয়ারি কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বিকাশ বিল্ডিং এলাকা ও সৈকতপাড়ায় পাহাড় কাটার ঘটনা নিয়ে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করে।
প্রকাশিত সংবাদ নজরে আসার পর রবিবার ১৪ জানুয়ারি পরিবেশ আদালত কক্সবাজারের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মোঃ আসিফ সংবাদটি আমলে নিয়ে মিস মামলা নং ০১/২০২৪ দায়ের করেন।
মামলার আদেশে আদালত উল্লেখ করেন, ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৯০(১)(গ) মতে অত্রাদালত উক্ত ঘটনা স্বপ্রণোদিত হয়ে আমলে নেয়ার এখতিয়ার রাখেন। উক্ত বিষয়ে সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন কর্মকর্তা কর্তৃক ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক ঘটনা সংঘটন সাপেক্ষে ঘটনার বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা আগামী ২১ জানুয়ারি স্বশরীরে হাজির হয়ে স্থিরচিত্র সহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *