মিয়ানমারজুড়েই চলছে গৃহযুদ্ধ। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। বাদ যাচ্ছে না বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যও। আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে। এদিকে গত তিন দিনে অন্তত ৬০ সেনা সদস্যকে হারানোর পাশাপাশি খুইয়েছে বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটি। মূলত পিপলস ডিফেন্স ফোর্স ও শসস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দেশজুড়ে এসব হামলা চালাচ্ছে।
সাগাইং, ম্যাগওয়ে ও মান্দালয় অঞ্চলের পাশাপাশি কাচিন এবং কারেন রাজ্যেও লড়াই চলছে।কারেন রাজ্য থেকে জান্তা বাহিনীকে উৎখাত করার অঙ্গীকার করেছে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন।
সংগঠনটির সামরিক শাখা জানিয়েছে, কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অর্গানাইজেশন কারেন, মোন রাজ্য, তানিনথারি ও বাগো অঞ্চলে লড়াই করছে।
এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২২৯ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। এর আগে এসেছেন ১১৫ জন। নতুন করে আরও ১১৪ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে বিজিপিসহ মিয়ানমার সরকারের অন্যান্য বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন।
এছাড়াও মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।