কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে মিয়ানমার থেকে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নারীসহ পাঁচ জন অনুপ্রবেশ করেছেন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সে দেশের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে তারা প্রবেশ করেছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় একটি ছোট মাছ ধরার ডিঙি নৌকায় নাফ নদ পার হয়ে তারা শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে এসে অবস্থান করেন। তাদের সঙ্গে নৌকার মাঝিমাল্লাও ছিলেন।
এ বিষয়ে শাহপরীর দ্বীপের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ‘বিকালে একটি ডিঙি নৌকায় মিয়ানমার থেকে পাঁচ রোহিঙ্গা এসে আমাদের জেটি ঘাটে পৌঁছে। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শুনেছি, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ বর্ডার গার্ড-বিজিবির পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেটিঘাটের দোকানি মো. সেলিম জানান, মিয়ানমারের একটি ডিঙি নৌকা শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে এসেছে। তাতে একজন গুলিবিদ্ধ নারীসহ পাঁচ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক আছেন। নৌকায় ওই রোহিঙ্গা নারীর শরীরে স্যালাইন চলছিল।
শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে মাছ শিকারি মো. ইউনুছ বলেন, ‘বিকাল ৫টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের ওপারে একটি ছোট নৌকা নিয়ে এক গুলিবিদ্ধ নারী চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের এপারে আসেন। সেখানে গুলিবিদ্ধ নারীসহ পাঁচ জন রোহিঙ্গা ছিল।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার থেকে নিপীড়নে বাস্তুচ্যুত হয়ে রাখাইন রাজ্যের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রয় শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন। তাদের বেশির ভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময় পালিয়ে এসেছিলেন।