অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাবারের জন্য অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। গাজার নুসেইরাত, বুরেইজ এবং খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ধীর গতিতে শিশুদের গণহত্যার সাক্ষী হচ্ছে গাজা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা সেখানে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সে সময় ইসরায়েলি সেনারা আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।
বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে, বেশ কয়েক হতাহত ফিলিস্তিনিকে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানো কোনো অ্যাম্বুলেন্সও প্রবেশ করতে পারছে না। আল-রশিদ স্ট্রিটে জড়ো হয়েছিলেন ফিলিস্তিনিরা। আটা বহনকারী ত্রাণবাহী ট্রাক থেকে তাদের সহায়তা দেবে বলে তারা অপেক্ষা করছিলেন।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগে খাবারের জন্য অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
সেখানে গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা এবং বুধবার সকালের মধ্যেই ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। ফলে সেখানে নিহতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৯৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে নতুন করে আরও প্রায় ১১০ জন আহত হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত গাজায় আহত হয়েছে ৭০ হাজার ৩২৫ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কামাল আদওয়ান এবং আল-শিফা হাসপাতালে পানিশূন্যতা এবং অপুষ্টিতে ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্য শিশুদের অবস্থাও গুরুতর। ওই দুই হাসপাতালে আরও তিন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া তারাও হামলার শিকার হচ্ছেন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আছি।