বাংলাদেশে ই-সিগারেটের আমদানি, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহার রোধে গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুওর (ডর্প) এবং বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ই-সিগারেটের ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে এটি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতি এবং ডর্পের বক্তারা।
বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতি সভাপতি এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব এম. মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতি সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব ড. শহীদুল ইসলাম, সাবেক উপ-সচিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ মহসীন আলী সরদার, সাবেক উপ-সচিব প্রফেসর ড. আব্দুল মালেক, সাবেক যুগ্ম সচিব জনাব খোন্দকার মোঃ মতিয়ার রহমান এবং আরও অনেকে।
বক্তব্য উপস্থাপনকালে ডর্পের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুবিনা ইসলাম বলেন, ‘গতানুগতিক তামাক পণ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশে ই-সিগারেটের ব্যবহারও ধীরে ধীরে বাড়ছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। ই-সিগারেটকে তামাকপণ্য ব্যবহারের গেটওয়ে হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।’ তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার দাবি জানান এবং সেই লক্ষ্যে প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তাদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব কাজী রিয়াজুল হক ই-সিগারেটের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, ‘আইন এর সংশোধন এবং কঠোর প্রয়োগ না করা হলে এই দুর্যোগ কাটবে না। এখনই ই-সিগারেটে নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ই-সিগারেট আমদানি, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বাণিজ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাবর শীঘ্রই চিঠি দেবে।’
জনাব এম. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ই-সিগারেটকে কম ক্ষতিকর হিসেবে তামাক কোম্পানিগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করলেও তা সঠিক নয় বরং এটি খুবই ক্ষতিকর একটি পণ্য যা তরুণ প্রজন্মের তামাক আসক্তি বাড়াবে। ই-সিগারেটের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতিও হবে।’
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশে নীরবে ই-সিগারেটের বাজার ব্যাপক আকারে সম্প্রসারিত হচ্ছে, কিন্তু এটি বন্ধে নীতিনির্ধারকদের কার্যকর পদক্ষেপ এখনও দৃশ্যমান নয়।’ তিনি সরকারের প্রতি দ্রুতই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ আজহার আলী তালুকদার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতি’র সদস্যবৃন্দ জনাব আলী কবির হায়দার, শ্রী বসুদেব গাঙ্গুলী, ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম, এসকে হাবিবুল্লাহ এবং ডাঃ মোঃ তৌহিদ হোসাইন।