ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশের আগে কালবৈশাখী শুরু হয়। সাধারণত মার্চের শেষ থেকে শুরু করে মে মাস পর্যন্ত চলে এই বজ্রঝড়। সম্প্রতি জলবাযুর প্রভাবে আগভাগে আসছে কালবৈশাখী। বিশেষ করে কালবৈশাখীর সময় বেশি বজ্রপাত ঘটে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রকৃতিতে এখন চলছে কালবৈশাখীর প্রাক-প্রস্তুতি পর্ব। আবহাওয়ার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। শীতের বিদায়ের পর ফালগুন, চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, সমগ্র পূর্ব এবং উত্তরপূর্ব ভারতে যে ঝড় বয়ে যায়, তা-ই কালবৈশাখী। বাংলা বষের্র শুরুতে বৈশাখ মাসে এই ঝড় তুলনামূলকভাবে বেশি হয় বলেই এটি কালবৈশাখী নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের মধ্যাঞ্চলে বুধবার থেকে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এ সময় বজ্রবৃষ্টিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। কক্সবাজার, সীতাকুন্ডে এখন হালকা তাপপ্রবাহ চলছে। মাসের শেষ দিকে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, পশ্চিমা লঘুচাপে মেঘরাশি প্রবেশ করছে দেশের ভৌগোলিক সীমায়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই মেঘমালা সরাসরি আসছে মধ্যাঞ্চলে। তাই সারা দেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকছে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ২০ মার্চ থেকে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফেনী, কুমিল্লা, রংপুরের কিছু এলাকায় কালবৈশাখী হানা দিতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আব্দুর রহমান আরও জানান, সারা দেশে মার্চে গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। অথচ গেল কয়েকদিন কক্সবাজার, সীতাকুন্ডে তাপমাত্রা উঠেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। সেখানে বয়ে চলছে হালকা তাপপ্রবাহ। তবে এ মাসের শেষে তাপমাত্রা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রিতে উঠতে পারে।
কালবৈশাখীর সময় দীর্ঘক্ষণ ভারী বৃষ্টি হয় না। তবে বজ্রবৃষ্টিতে প্রাণহানি ঘটে। তাই ঝড়ের সময় খোলা জায়গায় না থেকে ঘরে বা নিরাপদস্থানে অবস্থান নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।