প্রধান প্রতিবেদক:
কোরআনে হাফেজ আব্দুল গফুরকে কুপিয়ে মাথা দুইভাগ করে হাত দিয়ে মগজ বের করা হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পর আসামী কাশেম নূরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব-১৫। হত্যার পর থেকে গা ঢাকা দেন মামলার অন্যতম আসামি কাশেম নূরী। নিজেকে বাঁচাতে কখনো ফেরিওয়ালা আবার কখনো মৎস্যজীবীসহ নানান ছদ্মবেশ ধারণ করে আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কাটিয়ে দেন ১৩ টি বছর। অবশেষে বুধবার ২০ মার্চ দুপুরে কক্সবাজার চকরিয়ার শাহ উমর নগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আসামি কাশেম নূরীকে। আর এই অভিযানে নেতৃত্বে দেন র্যাব ১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।
সূত্রমতে, নিহত কোরআনে হাফেজ আব্দুল গফুর মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ শরীফ চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্য। স্থানীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর হাত দিয়ে টেনে মৃতদেহের মগজ বের করে নেওয়ার মতো নৃশংস ঘটনা সেসময় গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রচারিত হলে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সোচ্চার হন সচেতন মহল। ঘটনার দুইদিন পর ২৩/০৫/২০১১ তারিখে নিহতের ভাই জাফর আলম বাদী হয়ে ২৩ জন আসামির নামোল্লেখ করে এবং অপর ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে এ সংক্রান্তে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই হত্যাকাণ্ড মামলায় র্যাব অভিযান চালিয়ে নূরীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের বিষয়ে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন মহোদয়ের নির্দেশনার আলোকে দীর্ঘদিন নিরবিচ্ছিন্ন চেষ্টার ফল হিসেবে সুচতুর কাশেম নূরীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এ মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদেরকেও শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।