বার্তা পরিবেশক
যেদিন নতুন ভাবে বাংলাদেশ গড়েছে। সেইদিনই কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় জমি সংক্রান্ত জেরে ২ শিশু সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (৫ আগস্ট ) বিকেল ৪ টা ৪৫ মিনিটে ঝিলংজার ৪ নং ওয়ার্ডের লিংকরোড বিসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায় , নিহত ইয়াসমিন আক্তার বিসিক এলাকার মৃত লোকমান হাকিমের পুত্র আব্দুল খালেকের স্ত্রী।
এদিকে নিহত ইয়াসমিন আক্তারের স্বামী আব্দুল খালেক বলেন,গত ৫ আগস্ট বিকেলে একই এলাকার আকবর আহমদ এর পুত্র মো: জায়েদ, কিতাব আলী ও ওয়াজেদ আলীর নেতৃত্বে আফলাতুনের পুত্র দানেশ প্রকাশ সুদি দানেশ,জানার ঘোনার ইউ শাহ’র পুত্র রেজাউল করিম প্রকাশ কালু ডাকাত, জাকের হোসেন , কালা পুতুর পুত্র ইসমাইল প্রকাশ মিঠায়া,মৃত আব্দুর রহিম এর পুত্র শাহাদাৎ করিম, মোজাম্মেল এর পুত্র ওসমান,কালু গুন্ডার পুত্র মঈনউদ্দীন, মো:মনুর পুত্র দিদারুল আলম খোকন,রাশেল প্রকাশ বন্দুক রাসেল,ইউসুফ এর পুত্র মুহিব্বুল্লাহ কাজলসহ আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জন সন্ত্রাসীরা আমাকে স্বপরিবারে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা ,ভাঙচুর চালিয়েছে।
আমাকে না পেয়ে ধারালো কিরিচ দিয়ে আমার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে তারা। এবং আমার আড়াই বছর ও এক বছরের ২ শিশুদের হত্যার উদ্দেশ্যে আহত করে বীরদর্পে চলে যান সন্ত্রাসীরা।
পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে নিহত ইয়াসমিন আক্তারের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নিহতের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানান তিনি।
আব্দুল খালেক আরও বলেন, হত্যাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। ঐ সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে এলাকায় জমি দখল, মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। হত্যাকারীরা দীর্ঘদিন ধরে আমার জমি দখলের চেষ্টা করে আসছিল। তারা যেকোন মুহুর্তে আমাকেও হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে গেছে। আমিও আমার ২ সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এ ঘটনায় এলাকায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ও দেশবাসীর কাছে নিরাপত্তার জোর দাবি জানান তিনি।
এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে এজাহার দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন নিহত ইয়াসমিন আক্তারের স্বামী আব্দুল খালেক।