ছাত্রলীগকে আগামী ১ দিনের মধ্যে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আপনারা জানেন আজকে আমাদের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের কিছু প্রেতাত্মা মিছিল করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা এর আগে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছিলাম, তার আর মাত্র একদিন বাকি আছে। এই সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
হাসনাত বলেন, শিক্ষার্থীদের বলবো, আমরা গণঅভ্যুত্থানের যে শক্তি রয়েছি আমরা ছাত্রলীগের প্রশ্নে আপসহীন। গত ১৬ বছর ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ যেভাবে নৃশংসতা চালিয়েছে, সেখানে ছাত্রলীগের আর ন্যূনতম পুনর্বাসনের সুযোগ নেই। এবং একটি জঙ্গি সংগঠন হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য যত ধরনের কম্পুনেন্টস প্রয়োজন তা সবগুলো ছাত্রলীগের মধ্যে রয়েছে। সুতরাং আমরা অনলাইনে ছাত্রলীগের ক্লাউড ক্যাম্পেইন দেখতে পাচ্ছি এবং বিভিন্ন জায়গায় তারা মিছিল নিয়ে বের হচ্ছে! আমরা দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো, ছাত্রলীগকে এই জঙ্গি সংগঠনকে আপনারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিতে ৫ আগস্টের পূর্বে যেভাবে দমন করেছিলেন ঠিক একইভাবে দমন করবেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বলবো নৈতিক জায়গা থেকে ছাত্রলীগকে আর বাংলাদেশে কোনোভাবে পুনর্বাসনের সুযোগ নেই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এখনো ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত হয়নি। যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছে তারা কখনোই বাহাত্তরের সংবিধানের পক্ষে থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, যারা সাংবিধানিক ধারার দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনেকে তার পদে দেখতে চায় তাদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে আপনারা আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন। কারণ যারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে তারা বাহাত্তরের সংবিধানের পক্ষে থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, মূল কথা বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করতে হবে। নতুন সংবিধান লিখতে হবে যেখানে গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট প্রাধান্য পাবে। একই সঙ্গে এমন কোনো সুযোগ রাখা যাবে না যাতে আবার কোনো ফ্যাসিবাদি সরকার নতুন করে না আসতে পারে।
বঙ্গভবন ঘেরাও নিয়ে হাসনাত বলেন, আমাদের দাবি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ। তবে এ ধরনের আন্দোলন আমরা চাই না। আমরা এরই মধ্যে তাদের (বঙ্গভবন ঘেরাওকারীদের) সঙ্গে কথা বলেছি। যারা আন্দোলনে আছেন তাদের প্রতিও আহ্বান জানাব, আপনারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা একসঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে আবারও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব।