কক্সবাজার প্রেসক্লাবের কার্যক্রমে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সদ্য পদত্যাগকারী সিনিয়র সাংবাদিক মুহম্মদ নুরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন, স্বৈরাচারী আচরণ এবং কিছু অসাধু সুবিধাভোগীদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ করেন।
মুহম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, “কক্সবাজার প্রেসক্লাবে কিছু অসাধু ব্যক্তি গঠনতন্ত্রের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ক্লাবকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্যপদ প্রদানের প্রক্রিয়া থাকা সত্ত্বেও, বৈষম্যমূলকভাবে কিছু সাংবাদিককে সদস্যপদ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রেসক্লাবের বর্তমান কার্যকরী কমিটি পুরোপুরি অগঠনতান্ত্রিক পথে হাঁটছে।”
তিনি আরও জানান, ১৭ জন সাংবাদিকের নাম যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করা হলেও, কার্যকরী কমিটি তাদের মধ্যে মাত্র ৯ জনকে সদস্যপদ দিয়েছে। বাকি ৮ জনের নাম মিটিংয়ে উত্থাপন না করে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৫ ডিসেম্বর বিশেষ সাধারণ সভার নোটিশ দেওয়া হয় নিয়মের বাইরে মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভার নোটিশ এক সপ্তাহ আগে দেওয়া বাধ্যতামূলক।
“বর্তমান কমিটি কূটকৌশলের মাধ্যমে ক্লাবকে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছে। ক্লাবের অর্থ লোপাটের জন্য মিটিং ভাতা চালু করেছে, যা ক্লাবের ইতিহাসে নজিরবিহীন। প্রেসক্লাব কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়। এটি পেশাদার সাংবাদিকদের স্বার্থরক্ষা করার সংগঠন,” বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুহম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, “এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে। প্রেসক্লাব কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি সবার। অগঠনতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য একদিন এই কমিটিকে জবাবদিহি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।
সাংবাদিক সম্মেলনে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট এবং অনলাইন মিডিয়ার বিভিন্ন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।