সিবি২৪
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:০৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

ডাকসুর ভিপি-জিএস কী সুযোগ-সুবিধা পান

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ইতিহাস গড়ে এ নির্বাচনে অধিকাংশ পদে জয় পেয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এই বিজয় দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ডাকসুর ভিপি ও জিএস পদ দুটি সম্মান ও ক্ষমতার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাকসুর দুই পদ ভিপি ও জিএসকে নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের যেন শেষ নেই। সবার মনে একটি সাধারণ প্রশ্ন, ডাকসু নির্বাচনে নির্বাচিত ভিপি ও জিএসের কী কী সুযোগ-সুবিধা পান?

দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভিপি ও জিএস পদে থাকা ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ দুই সংস্থা—সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ার সুযোগ পান। সেখানে তারা ঢাবির হাজারো শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে পারেন। একই সঙ্গে ছাত্রদের স্বার্থবিরোধী কোনো বিষয় এলে সেখানেই তারা প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ পান।

এ দুই বডিতে তারাও অন্য সদস্যদের মতো সমান ক্ষমতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মতামত দেওয়ার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা, বাজেটসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

ডাকসুর ভিপি-জিএস কী সুযোগ-সুবিধা পান
ডাকসুতে কে কত ভোট পেলেন?
নীতিনির্ধারণী সভাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব কার্যক্রমেই কোনো না কোনোভাবে ভিপি ও জিএসের সম্পৃক্ততা থাকে। সমাবর্তনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট অনুমোদন এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার কমিটিতেও তারা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়া সিলেকশন বোর্ডে, যেখানে নিয়োগ বা চাকরি থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়, সেখানেও তাদের প্রতিনিধি হিসেবে ভূমিকা থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে বিশেষ বৈঠক হলে, ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে তারাও তাতে অংশ নেন।

তবে এসব দায়িত্ব পালনের জন্য তারা নিয়মিত কোনো বেতন-ভাতা পান না। শুধু সিনেট বা সিন্ডিকেটের বৈঠকে যোগ দিলে একটি নির্দিষ্ট ভাতা দেওয়া হয়। আর সিন্ডিকেট বা অন্য কোনো বডি বিশেষ কোনো দায়িত্ব অর্পণ করলে, কর্তৃপক্ষ চাইলে তার জন্য সম্মানীও প্রদান করতে পারে। তবে এক বছরের জন্য ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে তারা এককালীন অর্থ বরাদ্দ পান। এই অর্থ মূলত চা-নাস্তা ও অন্যান্য খরচের জন্য ব্যবহার করা হয়। ভিপি ও জিএসের জন্য মোট ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা ভিপির জন্য এবং পাঁচ লাখ টাকা জিএসের জন্য।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেল কক্সবাজারের ঈদগড়ের দুই যুবক

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি আসলে ‘হামাসকে পুরস্কার’ দেওয়া: ট্রাম্প

আ.লীগের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করলেন ডাকসু ভিপি

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

২১ মাসে দেশের ভেতরে ১৮ ভূমিকম্প, কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ?

এনসিপির মার্কা শাপলাই হতে হবে, অন্য কোনো অপশন নেই: সারজিস

বিএনপির কাছে কত আসন চেয়েছে জামায়াত, জানালেন মির্জা ফখরুল

যে ডলার আছে সেটা বাংলাদেশের আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত না

দগ্ধ ফায়ার কর্মীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন

১০

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১১

পুলিশের জন্য কয়েকশ কোটি টাকায় ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১২

চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে দুটি হল নির্মাণের প্রস্তাব ডাকসুর

১৩

অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১৪

ড. ইউনূসের সফর ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে মুখোমুখি বিএনপি-আওয়ামী লীগ

১৫

২০ দিন পেছালো রাকসু নির্বাচন

১৬

গাজার জন্য শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রস্তাব ফ্রান্সের

১৭

আগামী নির্বাচনে ১৫০ আসন পাবে এনসিপি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

১৮

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যেন এক মৃত্যুফাঁদ

১৯

পিআর দাবি পূরণ না হলে জামায়াত কি ভোট থেকে সরে দাঁড়াবে?

২০