পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ থেকে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) ভোরে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া গ্রাম থেকে আটক করে র্যাব। র্যাবের আইন ও গনমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেবীগঞ্জ থানার ওসি জামাল হোসেন বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়ার এক বাড়ি থেকে র্যাবের একটি দল মাহমুদুল আলমসহ তিন জনকে আটক করেছে বলে শুনেছি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এই তিন জন গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চর তিস্তাপাড়ার ওই বাড়িতে এসেছিলেন।’
মাহমুদুল আলম জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে গতকাল রাতে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। তার নির্দেশেই সাংবাদিক নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজন ও সহকর্মীদের। প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গোলাম রব্বানী নাদিমকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুকে অভিযুক্ত করে তার পরিবার।
এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি এবং সংগঠন থেকে বাবুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে কেনও তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।