আজকাল বেশিরভাগ মায়েরাই খাওয়ানোর সময় শিশুর হাতে মোবাইল দেন। চোখের সামনে মোবাইল না চললে শিশু কিছুতেই খেতে চায় না। শুধু খাওয়ার সময় নয়, দিনের অনেকটা সময় তাদের কাটে মোবাইল নিয়ে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ছোটদের এই ধরনের গেজেট ব্যবহারের প্রতি আসক্তি প্রায় তিন গুণ বেড়েছে কোভিড পরিস্থিতির পর থেকে। শিশুদের এই অভ্যাস পাল্টানো জরুরি। তার জন্য যা করতে পারেন-
মোহ ত্যাগ করতে হবে : সন্তানকে বারণ করার আগে অভিভাবক বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সতর্ক হতে হবে। তাদের সামনে দীর্ঘ ক্ষণ ফোন নাড়াচাড়া করলে শিশুও ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। দিনে একটা সময় পর অভিভাবকদেরও ফোন ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
সময় নির্ধারণ করে দিন: সন্তান সারা দিনে কত ক্ষণ ফোন, টেলিভিশন বা কম্পিউটারে সময় কাটাবে, সেই সময় বেঁধে দিতে হবে অভিভাবককেই। শিশু সেই সময় মাননের কি না সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
সব আবদারে প্রশ্রয় দেবেন না: কান্নাকাটি করে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিলেও সন্তানের সব আবদার না রাখাই ভালো। তাদের তাদের মধ্যে অবান্তর চাহিদা বাড়বে।
অন্য কাজে ব্যস্ত রাখুন: পড়াশোনা ছাড়াও এমন অনেক সৃজনশীল কাজ রয়েছে, যেসব শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। ঘরের বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করা, সমবয়সিদের সঙ্গে আলাপ করাও কিন্তু এক প্রকার অভ্যাস। যা ছোট থেকে করাতে পারলে শিশেুদের গেজেটের নেশা কমবে।
একাধিক গেজেট রাখবেন না: আপনি হয়তো ফোন নিয়ে কাজে চলে যান। কিন্তু তার পরেও হাতের নাগালে এমন অনেক ডিভাইস থাকে, যা খুব সহজেই শিশুকে আকৃষ্ট করে। পরিবারের অন্য সদস্যদের ফোনও সে ব্যবহার করতে পারে। এই সব বিষয়গুলি থেকে সন্তানকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।