কক্সবাজারের চকরিয়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে নতুন করে আরও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউপির ৩নং ওয়ার্ড হাজী রওশন আলীপাড়া সংলগ্ন রেললাইনের কালভার্টের নিচে স্থানীয় আবদুল মালেক মানিকের ছেলে মোহাম্মদ আসিফ (১২) বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন।
নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না। ছেলেটিকে উদ্ধারের জন্য চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার সকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান জানান, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নের তিন লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন। সরকারিভাবে জরুরি বরাদ্দ এখনো পৌঁছায়নি। তবে নিয়মিত বরাদ্দ চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
চকরিয়া পেকুয়ায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান ও পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় সবচেয়ে বেশি প্লাবিত এলাকা চকরিয়া ও পেকুয়া দুই উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ২৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যেখানে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বেসরকারি হিসাবে এর সংখ্যা আরও বেশি। কী পরিমাণ ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে এখনো জানা যায়নি। তবে পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান চকরিয়া প্রকল্প কর্মকর্তারা।