‘কফি হাউস এর সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’। আমাদের মাঝে অনেকের প্রতিদিনের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে একটি শব্দ-কফি। আড্ডা থাক বা না থাক দিনের শুরুতে কফির কাপে চুমুক না দিলে দিনটাই শুরু হয় না অনেকের। কাজের মধ্যে কফির সুঘ্রাণ না পেলে মাথাই খোলে না যেন কাজ করার জন্য।
এক কাপ কফি কত রকম অনুভূতির গুপ্ত কোটরের দরজা খুলে দেয়, তার বোধহয় কোন হিসেব হয় না। কফি মানেই নস্ট্যালজিয়া। কফি মানেই ম্যাজিক। কফিপ্রেমীদের কাছে এই তরল যেন কোন জাদুবাস্তবের অমৃত। যার ছোঁয়ায় শরীর, মন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে।
এতো প্রিয় যে পানীয় তার জন্য যদি একটি বিশেষ ও আলাদা দিন থাকে, তবে ব্যাপারটাই অন্যরকম হয়ে যায়। আর কফির প্রতি মানুষের ভালোবাসাকে আরও পোক্ত করতে ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশনের ৭৭টি সদস্য দেশ মিলিতভাবে ২০১৪ সালে সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক কফি দিবস পালনের। ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর পহেলা অক্টোবর পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক কফি দিবস হিসেবে।
আজ (১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কফি দিবস। ২০১৪ সালে ১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক কফি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক কফি সংস্থা (আইসিও)। ২০১৫ সালে ইতালিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কফি দিবস উদযাপিত হয়।
কফি দিবস কফি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত থাকা হাজার হাজার শ্রমিকের দিন। আর সেই উৎপাদিত কফি নস্ট্যালজিয়ার আকারে আমাদের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত পথে অনেক মানুষের অন্নসংস্থান করে। এই দিন তাঁদেরও। আর যাঁদের কাছে প্যাশন শব্দের আরেক অর্থ কফি তাদেরও দিন।
পানীয় হিসেবে বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে কফি। কফি যেকোনো জায়গায় মানানসই একটি পানীয়। শরীর ও মনকে চাঙ্গা করার জন্য দৈনন্দিন জীবনে নিয়মিত যুক্ত করা যেতেই পারে এক কাপ কফি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধ এবং চিনি মেশানো অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত কফির তুলনায় ব্ল্যাক কফি অধিক স্বাস্থ্যসম্মত। হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ক্যাফেইন গ্রহণে অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে।
কফির কাপ যে জীবনের কত জয়-পরাজয়ের বিশ্বস্ত সঙ্গী, তা শুধু সেই কাপগুলোই জানে। যন্ত্রণাক্লিষ্ট মনের সঙ্গী ধোঁয়া ওঠা এক কাপ কফি। আনন্দের মুহূর্তে ও এক কাপ কফি হয়ে ওঠে উদযাপনের আঁধার।