পটিয়া উপজেলা পরিষদ থেকে সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলামের চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়া নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া মোতাহেরুল ইসলামকে ভূমিদস্যু উল্লেখ করে বলেন, এতো বড় একজন ভূমিদস্যু যদি দলীয় নমিনেশন পায় তাহলে পটিয়ার কোন সম্পত্তি কি কেউ রাখতে পারবে? মোতাহেরুল ইসলাম তার নামে সরকারি সম্পত্তি, অর্পিত সম্পত্তি করিয়ে নেয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন,”অফিস আদালতে আওয়ামী লীগ পরিচয়ে মোতাহেরুল ইসলাম প্রভাব খাটায়। সে দেশে বা জনগণের জন্য রাজনীতি করে না সে রাজনীতি করে নিজের জন্য৷” মোতাহেরুল ইসলামকে কালোবাজারি আখ্যা দিয়ে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, সে (মোতাহেরুল ইসলাম) ৮৬-৮৭ সালে তো স্মাগলিং করেছে৷ ফাইভ ফাইভ (সিগারেট) ও জনি ওয়ার্কারের (বিদেশি মদ) কার্টুন টানছে। সে বেটা নাকি এই আসনের এমপি হবে৷ এরচেয়ে লজ্জা জনক কি আর কিছু আছে?”
স্থানীয় এমপির (সামশুল আলম) আশীর্বাদে মোতাহেরুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “সে (মোতাহেরুল) কারো জন্য কিছু করেছে বলতে পারবে না৷ তার বাবা ও সে নিজে পাক হানাদার বাহিনীকে তেল বিক্রি করেছে।” মোতাহেরুল ইসলামের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া বলেন, “সে কীভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে আমরা বুঝি না। আমরা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। শহীদের রক্তের ওপর আমরা শুয়েছিলাম৷ আজ মোতাহের যে স্টেজে উঠে শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না বলে সেকি শহীদের রক্ত চেনে?” উক্ত ভিডিও বার্তায় আসন্ন নির্বাচনে পটিয়ায় বিতর্কিত মোতাহেরুলকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে পটিয়ার কোন মুক্তিযোদ্ধারা তার জন্য কাজ করবে বলে ঘোষণা দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া।
বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়ার এসব অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহেরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “সেতো বিএনপি করে৷ তার সাথে আমার জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের মামলা আছে৷ তাই সে এসব বলছে৷” লাল মুক্তিবার্তায় নাম না থাকলেও কীভাবে তিনি এতো গুলো বছর পর মুক্তিযোদ্ধা হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মোতাহেরুল ইসলাম বলেন,”ভারতীয় তালিকায় তার নাম থাকায় আর তার পরিবার যাতে আগামীতে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসেবে পরিচয় দিতে পারে এই চিন্তা করে বর্তমান সরকারের আমলে আবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন৷”