দ্বিতীয় বিয়ে করলে স্বামী পাব, কিন্তু সন্তান সৎবাবা পাবে: অপু বিশ্বাস

jaya12 1701253497
print news

শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিচ্ছেদের পর দীর্ঘ একটা সময় পেরিয়েছে। মাঝে অনেক কিছুই গড়িয়েছে। শাকিবও খানও বুবলীর সঙ্গে গড়েন নতুন সম্পর্ক। সে ঘরে হয়েছে সন্তান। এরই মাঝে শাকিবের পরিবারের সঙ্গে অপুর সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে। ফলে গুঞ্জন উঠেছে শাকিবের ঘরে ফের ফিরছেন অপু। সত্যিই কি ফিরছেন? নাকি নতুন সংসারের স্বপ্ন দেখছেন?

এর আগে ঢাকায় একাধিক সাক্ষাৎকারে  অপু বিশ্বাস জানিয়ে আসছেন, সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করবেন না তিনি। একই কথা জানালেন ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারেও।  সেখানে জানালেন, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কোনো ভাবনা-চিন্তা নেই তার।

আন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব খান, ছেলে আব্রাম খান জয় ও দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কিত নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অপু। যেখানে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, গত এক বছরে আপনার ও শাকিবের সমীকরণ বিভিন্ন সময় বদলেছে। সম্প্রতি একসঙ্গে আমেরিকা ঘুরে এসেছেন।

এর জবাবে অপু বলেন,  ‘আমি চাই না, আমার সন্তান কোনো ভাঙা পরিবারে বেড়ে উঠুক। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে ভীষণ সচেতন। যেকোনো সন্তানের কাছে পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মা হিসেবে সন্তানকে সুনিশ্চিত একটা জীবন দেওয়া আমাদের কর্তব্য। আমার মনে হয়, পরিবারের অশান্তিগুলো আমাদের মাঝেই থাকা উচিত; সন্তানকে যেন সেই অশান্তি না স্পর্শ করে। জয় এই জিনিসটা কখনো বুঝতেই পারে না। কারণ আমি, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, শাকিব সকলেই ভীষণ সচেতন। বাবা-মা কাজ করেন, ব্যস্ত বলে দূরত্ব রয়েছে— আমার ছেলের কাছে বিষয়টি এমন। কিন্তু ‘ব্রোকেন’ শব্দটার সঙ্গে ও পরিচিত নয়।’

এক্ষেত্রে আপনার তাগিদই বেশি কি না, এমন প্রশ্নে অপুর জবাব- না, শুধু আমি নই। জয়ের বাবাও চান না। এদিক থেকে জয় খুব ভাগ্যবান। কারণ শাকিবের মতো বাবা পেয়েছে। আমার একার ইচ্ছায় তো কোনো কিছু সম্ভব নয়। ওর বাবা নিজের সন্তানের প্রতি খুব স্বচ্ছ। তাই আমার ছেলের কখনো ‘ব্রোকেন ফ্যামিলি’ মনে হয় না।

কখনও দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভেবেছেন কি না এমন প্রশ্নে এই নায়িকার সাফ উত্তর, না কখনও ভাবিনি। অপু বললেন, ‘দ্বিতীয় বিয়ের দরকারটা কী? বাংলাদেশে আমার এমন একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে সকলে ভাবেন অপু যা-ই করবেন তার মধ্যে একটা বার্তা থাকবে। সেই দিক থেকে দর্শকের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। একটা মেয়ে, যার সন্তান আছে সে কেন দ্বিতীয় বিয়ে করবে? দ্বিতীয় বিয়েতে সে হয়তো স্বামী পাবে, সামাজিক পরিচিতি পাবে। কিন্তু সন্তান একজন সৎবাবা পাবে! সন্তানের প্রতি ওই বাবা সমান ভালোবাসা দেবেন না। তাই আমি মনে করি, দ্বিতীয় বিয়ে করবই না! তা হলে সন্তান তার নিজের বাবাকেই পাবে, অন্য কাউকে বাবা বলতে হবে না। তাই যেকোনো একজনকে আত্মত্যাগ করতেই হয়, তাতে ভুল কিছু নেই। মা হিসেবে আত্মত্যাগ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

এরপর সাকিবের দ্বিতীয় বিয়ের প্রশ্ন উঠতেই রহস্যের হাসি হাসলেন অপু। বললেন, ‘এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেব না।’ তাহলে কী সন্তানের জন্য আত্মত্যাগটা আপনি করছেন? জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একা কেন করব? যা-ই করেছি নিজের ইচ্ছায় করেছি; সব কিছুই যে উত্তর দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে তেমনটা নয়। কিছু জিনিসের উত্তর সময় দেয়।’

এরপর প্রশ্ন করা হয়, এই যে শাকিব ও আপনি এতটা সময় বাইরে কাটিয়ে এলেন, জীবনে নতুন কোনও পরিবর্তন আসলো কি না? এই নায়িকার ভাষায়, আমি না ভীষণ বাস্তববাদী মানুষ। একদম আলাদা। সদা পজ়িটিভ। আমি আবেগ, অনুভূতি নিয়ে মাথা ঘামাই না। স্বল্প সময় মানুষের বেঁচে থাকা। সেখানে কাজের বিকল্প নেই। সময় এলে কারও জন্য বসে থাকবে না। দেখুন না, কী হয়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *