বিশেষ প্রতিবেদক, সিবিটুয়েন্টিফোর নিউজ
পিএমখালী উচ্চবিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে আসলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম। শুক্রবার ৭ জুন সকাল ১০টায় বৈরি আবহাওয়ার মাঝে বার্ষিক ক্রীড়া , সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান এবং অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের পিপি তরুন রাজনীতিবীদ এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউর রহমান রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, পিছিয়ে থাকা পিএমখালী উচ্চ বিদ্যালয়কে অবকাঠামোগত ও শিক্ষাকার্যক্রমে এগিয়ে নেয়া হবে। কক্সবাজার জেলা নানান দিক থেকে আধুনিকায়ন ও শিক্ষাতেও পিছিয়ে নেয়। তাই পিএমখালী উচ্চ বিদ্যালয়কে আরো এগিয়ে নিতে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সু-নজর থাকবে।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দূরে কোথাও ছাত্র-ছাত্রীদের না দিয়ে এই বিদ্যালয়ে পাঠাবেন। এখানে যে সংকট আছে সর্বোচ্চ সমাধানে চেষ্টা থাকবে।
পিএমখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, পিএমখালী উচ্চ বিদ্যালয় এই ইউনিয়নের একমাএ উচ্চ বিদ্যালয়, এই বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার বাবা এড হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান নুরুল আজিমসহ অসংখ্য শিক্ষানুরাগী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় এবং আমি চেষ্টা করব বিদ্যালয়টিকে কলেজে রুপান্তর করতে। সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষাকার্য ক্রমসহ পুরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে যা আপনারা ইতিমধ্যে দেখেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহকারী কলেজ পরিদর্শক আবুল কাসেম ফদলুল হক, পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পিএমখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম মাহবু, বাংলাবাজার আইডিয়াল স্কুলের সভাপতি দেলোয়ার হোছেন এবং প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান । এছড়াও অথিতি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জসীম উদ্দিন, মাস্টার আব্দুর রশিদ, আওয়ামী লীগ নেতা নূরুল আলম, সিরাজসহ স্কুলের সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক এম এন আনোয়ার পারভেজ। পিএমখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া, সাহিত্য, সাস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।