গত কয়েক মাস আগে আপন বড় ভাইকে এনজিও থেকে আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দেন ছোট ভাই হারুন। সেই টাকা পরিশোধ না করে পালিয়ে যান বড় ভাই ও তার স্ত্রী। এনজিও কর্মকর্তাদের ঋণ পরিশোধের চাপ এসে পড়ে হারুনের ঘাড়ে। এ চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন ছোট ভাই হারুন।
হারুনের প্রতিবেশীরা জানান, লাপাত্তা ভাইকে না পেয়ে হারুনকেই কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিতো এনজিও কর্মকর্তারা। প্রতিদিন এনজিও সংস্থার কর্মকর্তাদের নানা চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজের স্ত্রীও চলে যান বাপের বাড়ি। এনজিও কর্মকর্তাদের ঋণের চাপে একে একে সকলেই দূরে সরে যায়। মানসিক চাপ বাড়তে থাকে হারুনের। সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে মুক্তি নেন এ যন্ত্রণা থেকে। এমন একটি করুণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চকরিয়া উপজেলার ডোলাহাজারা ইউনিয়নে।
এ ঘটনায় হারুনের স্ত্রী বাকরুদ্ধ হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গের পাশে বসে স্বামীর লাশের অপেক্ষা করছেন।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১১টার সময় দুলহাজারা ইউনিয়নের এই ঘটনাটি ঘটে।
হারুনের এক প্রতিবেশী জানান, হারুন তার বড় ভাইকে গ্রামীণ ব্যাংক, প্রত্যাশী সহ কয়েকটি এনজিও সংস্থা থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে দেন। পরবর্তীতে সেই টাকা পরিশোধ না করে স্বামী স্ত্রী দুজনে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গত কয়েক মাস ধরে এনজিও সংস্থার কর্মকর্তারা হারুনের উপর চাপ সৃষ্টি করে। অনেক সময় এনজিওর কর্মকর্তাদের ভয়ে হারুনের পরিবারকে প্রতিবেশীদের বাড়িতে লুকিয়ে থাকতে হতো। হারুনের স্ত্রীও বাপের বাড়ি চলে যান এই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে। দিনমজুর হারুনের উপর নেমে আসা এমন মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে হারুনের লাশ। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।