পেকুয়া প্রতিনিধি: পেকুয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ ইট-ভাটায় দফায় দফায় জবর দখল চেষ্টার অভিযোগে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তজনা সহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে মোঃ মহসিন নিজের ইটভাটায় যাতায়তের জন্যে উচ্চ আদালতে নিষেধাজ্ঞা জারিকৃত বিরোধপূর্ণ ইট-ভাটার জায়গায় রাস্তা তৈরী করে ইটভর্তি গাড়ী চলাচল করলে ও স্থানীয় গিয়াস উদ্দিন, ছরওয়ার ও আওয়ামীলীগ নেতা সেলিমের নেতৃত্বে পুকুরে মাছ ধরা সহ বসতবিটা নির্মাণের জন্য দফায় দফায় জবর দখলের প্রচেষ্টা চালালে এ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পেকুয়ার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী এলাকার বাসিন্দা আবু সালেহ বাবুল জানান, আমার ছোট ভাই মোজাম্মেল গং রাজাখালীর আবু তাহের সহ যৌথ মালিকানায় ‘ইলাহী ব্রিকস’ নামে একটি ইটের ভাটা করে । দুই বছর সুষ্টভাবে চলার পর আমাদের সাথে অংশীদার আবু তাহেরের বিরোধ সৃষ্টি হয়। আবু তাহের তৃতীয় একটি পক্ষকের সাথে আতাত করে ইট ভাটার জমি হস্তান্তর করে দেয়। ইট ভাটার সম্পদের মালিক আমার ছোট ভাই মোজাম্মেল। জমির মালিক ছিল আমার বড় ভাইয়ের বন্ধু ওয়াসিম চৌধুরী ও আবু তাহের। বিরোধ সৃষ্টির পর আবু তাহের তার অংশের জমি তৃতীয় পক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম, ইকবাল, মোস্তাক সহ ১৫ জনের কাছে হস্তান্তর করে। এটা জানার পর ওয়াসিম চৌধুরী বাদী হয়ে কক্সবাজার যগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে মোহাম্মদীয়া আইনে একটি হকসহি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ৩১৮/২০১২। উচ্চ আদালতে দুই পক্ষের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমি বিক্রি না করার জন্যও নিষেধাজ্ঞা দেন।
এদিকে চলতি বছরের ৭ জুলাই।মামলা ধার্য্য তারিখে সময়ের আবেদন ভূলবশত দ্বিতীয় যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের পরিবর্তে দ্বিতীয় অতিরিক্ত জজ আদালতে জমা হয়ে গেলে বাদী পক্ষের অনুপস্থিতিতে মামলাটি খারিজ আদেশ দেন।
নিয়ম অনুযায়ী ১ মাসের ভিতর পূনরায় শুনানির বাধ্যবাধকতা থাকলেও ১৮জুলাই ৯ দিনের মাথায় পূনরায় শুনানির আবেন করা হয়, আদালত নিয়ম মোতাবেক ১ হাজার টাকা জরিমানা ফি জমা পুর্বক ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন এবং সেদিনই ৩ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য্য করেন।
বাবুল আরও বলেন, সোমবার সকালে আমাদের যৌথ মালিকানায় ইট ভাটার পূর্ব পাশে পুকুরে মাছ ধরতে গেলে সেলিম গং আমাদের বাধাঁ দেয়। ঐ দিন গিয়াস উদ্দিন গং জোরপূর্বক পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যায় ।
গত ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে৷ আওয়ামীলীগ নেতা সেলিমের নেতৃত্বে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমির মধ্যে রাস্তা তৈরি করে প্লট বরাদ্ধ ও ঘর নির্মানের কাজ করার চেষ্টা করে। এনিয়ে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। আমরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা স্থিতি রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে কল দিলে মোঃ মহসিন বলেন, এধরনের দখল-বেদখলের ঘটনা ঘটেনি। কোন পক্ষের সাথে বাকবিতণ্ডাও হয়নি।
এবিষয়ে সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবী করেন ইটভাটার জমি তাদের মামলাটি খারিজ হয়েছে বলে জানান।
বাদী পক্ষের বাবুল বলেন, মামলাটি এখনো চলমান আছে,আগামী ৩ নভেম্বর শুনানির জন্য ধার্য্য তারিখ রয়েছে।
এবিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মো.সিরাজুল মোস্তাফা বলেন, আদালতের আদেশ অমান্য করে কাজ করার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।