কক্সবাজারে এক ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর অপহরণ মামলায় দুই অপহরণকারীকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস.এম জিললুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর, দণ্ডিত আসামীরা সোনা মিয়া ও হাফেজ আহমদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার পৌরসভার দক্ষিণ বাহারছড়ার কবরস্থান পাড়ার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় অপহরণকারীরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপহৃত ছাত্রীর বাবা আবদুল হাকিম বাদী হয়ে কক্সবাজার থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
২০০৯ সালে দায়ের করা এই মামলার বিচার ২০১১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়। মামলার তদন্তে ৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আসামীদের জেরা শেষে মঙ্গলবার বিচারক এস.এম জিললুর রহমান দুই আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেন। একই সাথে, মামলার অপর আসামী নুর হোসেনকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘আদালত যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছেন, যা শিশু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা প্রদান করবে।’’
এ রায়ের মাধ্যমে কক্সবাজারে শিশু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ আরও দৃঢ় হতে চলেছে, যা শিশু নিরাপত্তা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।