পবিত্র ঈদুল আজহার এখনো বাকি ১ দিন। ঈদকে ঘিরে সদর উপজেলার পি এম খালী বাজারে জমজমাট হয়ে ওঠেছে কোরবানির পশুর হাট। গত কয়েকবছর ধরেই ঈদের সময় কোরবানির পশুর এই হাটটি বেশ জমজমাটভাবে আয়োজিত হয়ে আসছে। বাজারটি ইজারা নেন পি এম খালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সম্পাদক, হোটেল বিচ হলিডে এর স্বত্তাধিকার মুহসিনিয়া পাড়ার হাফিজুর রহমান লাভলু।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে পি এম খালীর চেরাংঘর বাজারে পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত পরিমানে গরু বাজারে মজুদ রয়েছে এবং এসবের বেশিরভাগ গরুই স্থানীয়ভাবে লালিত-পালিত। ঈদের ৪ দিন আগে থেকেই ভালো বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাজারে পশু নিয় আসা ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পি এম খালীর চেরাংঘর বাজারে এবছর পশুর দামের ব্যাপারে উভয়েই মোটামুটি খুশি। হাটে বেশীরভাগই দেশীয় জাতের ছোট, বড়, মাঝারী সাইজের গরু উঠেছে । গরুর পাশাপাশি হাটে ছাগল উঠেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, গরুকে তারা কোন ধরনের ঔষধ খাওয়াইয়ে মোটা তাজা করেন না। এসব অসদুপায়ে গরু মোটাতাজা না করে গরুকে তারা প্রাকৃতিক উপায়ে খৈল,ভূসি, খড় ও ঘাস খাইয়ে মোটাতাজা করেন। যেকারণে এই হাটে গরুর দাম ভালো পাওয়া সহ ক্রেতারাও সহজে আসে।
এক বিক্রেতা বাজারে বাহুবালি নামের একটি গরু তুলেছেন, যেটির দর দিয়েছেন ২০০০০০ টাকা। কিছুক্ষণ পার হতে না হতেই এক ক্রেতা নিমিষেই ১,৭৭,০০০ টাকায় বাহুবালি গরুটি ক্রয় করেন। এছাড়া বিক্রেতারা বিভিন্ন নাম দিয়ে গরু বাজারে তুলে।
স্থানীয়রা গরুকে বিভিন্ন ভাবে সাজিয়ে বাজারে তুললেও দূরের ব্যবসায়ীরা ট্রাক ও নসিমন যোগে প্রচুর সংখ্যক গরু ও ছাগল বাজারে এনেছেন। এদিকে হাটের নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছাসসেবক দল সার্বক্ষণিক দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় পপি এএম খখালী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য পুলিশও যথাযথভাবে দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। তাই নির্ভয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতারা পশু বেচা কেনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় পি এম খালীর ৮নং ওয়ার্ডের এম ইউ পি সদস্য বলেন, আমি নিজেই গরুর পালন করি। আমার খামারের ১০ টি গরু আছে। সব গুলো দেশি জাতের গরু। গরুর প্রকারভেদে ৩০ হাজার থেকে ১৫০০০০ টাকা দাম রয়েছে, কেউ কেউ মূল্য হাঁকছেন তারচেয়ে কম টাকায়। যে দাম বলছে তাতে আমার খরচ থেকে বেশী হচ্ছে না। হাতে আরও সময় আছে কয়েকদিন আরো দেখে তারপরে গরু বিক্রি করবো।
কক্সবাজার সদর উপজেলার প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক বেদারুল আলম গরু কিনতে এসে বলেন, এবছর এই বাজারে সকল প্রকারভেদের গরু কেনা বেচা হচ্ছে এই বাজারে। আশা করি যারা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির আছেন তারা এই বাজারে নির্ভয়ে, নিরাপত্তার সাথে গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন।